দীর্ঘকাল এরা নিপিড়িত ছিলো। কিন্তু যখনই ধর্মান্ধতা ছেড়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানে মনোযোগ দিলো, তখনই শক্তিশালী হয়ে উঠলো। পর্দা, হিজাব, নিকাব, হারাম, হালাল, ফতোয়াবাজি, এগুলো ইহুদী ধর্মেও ছিলো। প্রচণ্ড প্রতাপে ছিলো। কিন্তু একটা বিষয়ে এরা অন্যদের চেয়ে আলাদা ছিলো। এরা কখনো নিজেদের মাঝে কলহে জড়ায় নি। নিজ দেশের কাউকে নাস্তিক, মুরতাদ ঘোষণা দিয়ে এলাকাছাড়া করে নি। ফলে ইহুদীদের মাঝে স্বাধীন জ্ঞানচর্চার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিলো। দেখা দিয়েছিলো বড় বড় সমাজ সংস্কারক, ধর্ম সংস্কারক, বিজ্ঞানী, দার্শনিক, সাহিত্যিক, ও শিক্ষাবিদ। কোনো ইহুদী তাদেরকে ছুরি মারতে যায় নি। তাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে নি। এবং তারাই ইহুদী জাতিকে শক্তিশালী করেছে। মুসলমানদের মাঝে এ চর্চা একেবারেই নেই। ইবনে সিনা ও ইবনে রুশদের মতো মানুষকে এরা দেশছাড়া করেছিলো। কবি ইমাদুদ্দীন নাসিমীর মতো নিরীহ লোককে জ্যন্ত চামড়া তুলে হ*ত্যা করেছিলো। যতোক্ষণ না মুসলমানরা নিজ এলাকার জ্ঞানীদের নাস্তিক মুরতাদ বলে পার্সেকিউট করা বন্ধ করবে, সব জায়গায় ধর্ম খোঁজার অভ্যাস ত্যাগ করবে, বই পড়ার নামে একঘেয়ে কিতাব পড়ার অভ্যাস বাদ দেবে, এবং ওয়াজকারীদের ছেড়ে জ্ঞানী মানুষদের অনুসরণ করবে, ততোক্ষণ মুসলমানের মুক্তি নেই। এ সত্য যতো অস্বীকার করা হবে, ততো তারা দুর্বল হতে থাকবে।
Translate
Tuesday, July 8, 2025
Israel & Jews
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment