Translate

Monday, February 12, 2024

Learn something from Jewish

ইহুদিদের সম্পর্কে যারা জানতে আগ্রহী। তাদের জন্য, 

১। ধর্মীয় কারণে ওরা নিজেদেরকে খুব শুদ্ধ রাখতে চায় বলে অন্য ধর্মের লোককে ইহুদি হতে দেয় না। ভারতে যেমন হিন্দু পিতামাতার সন্তান না হলে হিন্দু হওয়া যায় না। 

২। এখন থেকে আট শতাব্দী আগে পৃথিবীর প্রথম জাতিগোষ্টী হিসাবে তারা শতকরা ১০০% স্বাক্ষরতা লাভ করে। শিক্ষা বিস্তারে জগতের আর কোন জাতিগোষ্টী এত বেশি অর্থ দান করেনি। যদিও এরা সংখ্যায় খুবই নগণ্য, জ্ঞান-বিজ্ঞানে ওদের অবদান অতি বিশাল। অন্ধদের জন্য ব্রেইলি ওদের টাকায় আবিষ্কৃত ও প্রচলিত। মূক ও বধিরদের শিক্ষার জন্য সাইন ল্যঙ্গুয়েজ ওরাই বানিয়েছে। হলিউডের মূল চালিকাশক্তি ওরাই। সারা ইউরোপ আর আমেরিকায় কলেজ ইউনিভার্সিটির জন্য সবচেয়ে বেশি দান ওরাই করেছে।

৩। বদান্যতায় ইহুদিদের ধারে কাছে কোথাও যেতে পারেনি অন্য কোন জাতিগোষ্টী।

৪। পৃথিবীতে ওদের চেয়ে বেশি সৎ কোন জাতিগোষ্টী নেই, আর হবেও না।

৫। ইহুদিরাই টাকা আবিষ্কার করেছে, ব্যাঙ্কিং আবিষ্কার করেছে, আর ওরাই সবচেয়ে বেশি টাকার মালিক। এর মূল কারণ হচ্ছে দুয়েকজন ছাড়া ইহুদিরা কারও টাকা মেরে দেয় নি। ধরুন আপনি এক ইহুদিকে টাকা ধার দিয়ে মারা গেলেন আর আপনার কোন আত্মীয়স্বজন নেই। তাহলে আপনার কবরে টাকা দিয়ে আসার একমাত্র লোক হচ্ছে ইহুদি। আমেরিকান ডলার যে টিকে আছে তার বড় কারণ ৫টি ইহুদি পরিবার ফেড এর সব ১২টি শাখার মালিক।ওদের কারণেই সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার পরেও ফেডে রাখা ইরাকের ৭০০০ কোটি ডলার আমেরিকান সরকার জব্দ করতে পারেনি।

৬। টাকা যে কি জিনিস সেটা জানতেন মাত্র দুইজন লোকঃ দুইজনই ইহুদি। একজন হলেন স্যার গ্রেশাম (রাণী প্রথম এলিজাবেথের অর্থ উপদেষ্টা) আর অন্যজন ছিলেন হ্যারি ডেক্সটার হোয়াইট (বিশ্বব্যাঙ্ক, আই-এম-এফ ও বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার স্রষ্টা)। আমার জানা মতে পৃথিবীতে কোন মুসলমান, খৃষ্টান, হিন্দু বা বৌদ্ধ টাকা কি সেটা জানে না। হ্যা, টাকা ওরা ব্যবহার করে, কিন্তু টাকা কি করে টাকা হয় সেটা ওরা জানে না। সেলফোন অনেকেই ব্যবহার করে, কিন্তু কতজন ওইটা বানাতে পারার মত জ্ঞান রাখে-এই ধরণের অর্থে বলছি।

৭। আগের যুগে সবচেয়ে বড় খুনি দলবল নিয়ে নিরীহ মানুষদেরকে মেরে কেটে রাজা হয়ে যেত। খুনি রাজারা জোর করে পরাজিত দেশের লোকজনের উপর নিজের ধর্ম চাপিয়ে দিত। সবাই কাপুরুষের মত রাজার ভয়ে তার ধর্ম মেনে নিলেও ইহুদিরা প্রাণ গেলেও ধর্ম ছাড়বে না। আর ওরা দাবি করতো যে ইব্রাহিমের সাথে আল্লাহর একটা চুক্তি আছে যে ইব্রাহিমের বংশের লোক যদি ইজ্রাইল (বা ইয়াকুব)কে কোরবানির অনুরূপ ছেলেদের পুরুষাঙ্গ কেটে কবর দেয়, তাহলে তার মূল্য হিসাবে অবশ্যই তারা বেহেস্তে যাবেই। (মুসলমানদের দাবি হলো যে ইব্রাহিম তার দাসীর ছেলে ইসমাইলকে কোরবানি দিতে গিয়েছিলেন, কিন্তু ইহুদিরা বলে তিনি তার স্ত্রী সারার পুত্র ইসহাক-কে কোরবানি দিতে গিয়েছিলেন)। ইহুদিদের এইসব অতিশয়োক্তিতে বিরক্ত হয়ে অনেক রাজাই তাদেরকে মেরে কেটে দেশ ছাড়া করেছেন।

৮/ ইহুদিরা অন্য জাতির সাথে মিশে না, অনিহুদির মেয়েকে বিয়ে করে না, অনিহুদির কাছে মেয়ে বিয়ে দেয় না, এইসব কারণে ইহুদিরা বহুকাল আগে থেকেই অন্য জাতিদের বিরাগভাজন ছিল। ১৭৩০ সালের আগে সারা দুনিয়ায় জমির মালিক ছিলেন রাজা, আর প্রজারা চাইলেই রাজার জমি চাষ করতে পারতো, তবে খাজনা দিয়ে। ইহুদিদেরকে বহু দেশেই চাষবাস করতে দেওয়া হতোনা। সেকালে অন্য কোন পেশা তো ছিলনা, ওরা বাঁচবে কি করে? প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ওরা জুতা তৈরি ও সেলাই, কাপড় সেলাই, কামার ও স্বর্ণকারের কাজ, পাথর খোদাইয়ের কাজ এইসব করে অতিকষ্টে বেঁচে থেকেছে আর দেশে দেশে তাড়া খেয়ে ঘুরেছে,বারেবারে গণহত্যার শিকার হয়েছে। গ্রামে ওদের থাকা হয় নি। প্রথম থেকেই ওরা থেকেছে শহরে, আর আগের যুগের শহর মানে সেনাবাহিনির আখড়া। আর শহরে থাকতে গিয়ে লেখাপড়া শিখতে বাধ্য হয়েছে। খৃষ্টান, মুসলমান, আর হিন্দুরা দিব্বি নিরক্ষর থেকে হালচাষ করে জীবন পার করে দিয়েছে, কিন্তু অত লালি তো আর ইহুদির কপালে জুটেনি। লেখাপড়া আর হাতের কাজ ওদেরকে শিখতে হয়েছে দায়ে পড়ে।

৯/ টাকার কিচ্ছাটা বড় মর্মান্তিক। খুনিদস্যুদের যুগে যুদ্ধবিগ্রহ ছিল প্রতিদিনের ঘটনা। কৃষি উদ্ভাবনের পর থেকেই চাষীদের কপালে মার জুটেছে। বহু কষ্ট করে ফসল উৎপাদন করে ঘরে তোলার পরেই খুনিদস্যুর দল এসে সব কেড়ে নিয়ে যাছে, আর প্রাণে না মারলে পরাজিত লোকটাকে দাস বানাচ্ছে, চাষার বউটাকে নিয়ে গণধর্ষণ করছে বা রক্ষিতা বানাচ্ছে বা পতিতা বানাচ্ছে। ছয় হাজার বছর ধরে এইসব চলার পর মধ্য এশিয়া অঞ্চলে ঘোড়ায় চড়ে ডাকাতি করার জন্য এক জাতির উন্মেষ হয়ঃ তাদের নাম হল আর্য। বর্তমান কালে সিরিয়াতে আরার নামের যে এলাকা, সেটা তারা নিজদের নামে কলঙ্কিত করেছিল। আর আরিয় বা আর্যরা ইরানকে এর পরবর্তী দখলদারিত্বে নিয়ে আসে। তারপর তারা ভারতে এসে স্থানীয় লোকজনকে দাসে পরিণত করে, আর নিজদের পান্ডা গুলিকে ব্রাহ্মণ আর গুন্ডাগুলোকে ক্ষত্রিয় ঘোষণা করে। টাকা বলতে তারা লুন্ঠিত সামগ্রী বা লুটকেই বুঝেছে।

১০। সেই ভয়ঙ্কর যুগে মিশরের বড় গুন্ডা নিজেকে কেবল রাজা নয়, ঈশ্বর ঘোষণা করেছে, আর মিশরের ঈশ্বর নিজের সহোদরা বোনকে স্ত্রী হিসাবে নিয়ে তার রক্তের বিশুদ্ধতা জারি করেছে । এই দস্যুরাজা ফেরাউন মেরে কেটে দেশছাড়া করেছে ইহুদিদেরকে। সে প্রায় চার হাজার বছর আগের ঘটনা।

১১/ এখন দুনিয়ার কোথাও ইহুদিরা টিকে না, অল্প কয়দিন বর্তমান কালের ইস্রাইল আর জর্ডান আর প্যালেস্টাইন এলাকায় ওরা বাস করে তারপর মার খেয়ে দেশ ছাড়া হয়। রিফিউজি হিসাবে দেশে দেশে ঘুরে গুন্ডা রাজাদের সোনারূপাহীরার কারিগর হিসাবে, কামার, ছুতার, পাথর মিস্ত্রি আর লেখকের কাজ করে ওরা বেঁচে থাকে।

১২/ চার হাজার বছর আগে থেকেই কিছু কিছু বাণিজ্য শুরু হয় সমুদ্রে সমুদ্রে জাহাজে ভাসা কিছু লোকের। ওদেরকে ধরতে মারতে হলে জাহাজ নিয়েই তাড়া করতে হয়। ওরাও অস্ত্রশস্ত্র নিয়েই জাহাজে থাকতো আর বাগে পেলে পাইরেসি করতো। কিন্তু ডাকাতে আরে ডাকাতে সমান সমান জোর হলে কেড়ে না নিয়ে কিনে নিত। ব্যাপরটা অনেকটা ছিলো এই রকম, বন্দরে এসেছে একদল ডাকাত, ওদের জাহাজভর্তি ডাকাতির মাল, আর স্থলে ডাকাতি করে বন্দরে হাজির হয়েছে আরো একদল ডাকাত। সবার কাছেই আছে তলোয়ার। জোর যার মুল্লুক তার, এইটাই নিয়ম। কিন্তু জোর থাকলেও জবর না থাকলে ডাকাতে ডাকাতে একটা ফয়সলা হয়ঃ তুই কিছু দে, আমি কিছু দেই তোরে, নাকি মারামারি করবি? যখন বুঝে যে মারামারি করে জেতার আশা নেই, তখন কিনাবেচাই করে।

১৩/ প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে বন্দরে বন্দরে সোনার চাক্তি রূপার চাক্তি দিয়ে কেনাবেচা হ্তো। ক্রমে বন্দরে স্থায়ী ঘর তুলে বাবসা শুরু করল এক দল লোক। সৃষ্টি হলো বন্দরের বাজার। আর তখন দেখা গেল এক নতুন ডাকাতিঃ সোনার মুদ্রা আর রূপার মুদ্রা জাল করে একদল লোক ডাকাতদের উপর বাটপারি শুরু করলো। এখন সোনার চাকতিতে আসল কতখানি সোনা আছে সেটা যাচাই করার লোক দরকার। বাজারে যারাই এই যাচাইয়ের কাজ নিয়ে বসেছে তারাই ঘুষ খেয়ে এক পক্ষের স্বার্থে অন্যপক্ষের ক্ষতি করেছে। এক মাত্র ইহুদিরাই ঘুষ না নিয়ে সাধুভাবে মুদ্রাপরীক্ষা করেছে এবং কালে বাজারের মুদ্রা পরীক্ষক মাত্রই ইহুদিরা। ওরাই অনিবার্য ভাবে ব্যাঙ্ক খুলেছে, কারণ সকল ব্যবসায়ীরা ওদের মুদ্রা ইহুদির কাছে গচ্ছিত রেখে নিরাপদে থেকেছে- অনিহুদি মাত্রই ছিল চোর। কোন মুসলমান বা খৃষ্টানের কাছে সোনা গচ্ছিত রেখে ফেরত পাওয়া গেছে এমন খবর পেয়েছেন? এইযে মীর কাশেম অযোধ্যার নওয়াবের কাছে মুদ্রা গচ্চিত রেখে আর ফেরত পান নি, ইংরেজের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আগেই মুসলমানের বেঈমানিতে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে নেপালে গিয়ে ভিখারির দশায় মারা যান।

১৪। ইহুদিরা সুদে টাকা ধার দিতে শুরু করে। সকল ধর্মের পান্ডার দল সুদের বিরোধী, কারণ পান্ডারা তো নিজে করে ভিক্ষা, কাউকে কখনো এক পয়সা ধার তো দেয়না। তাদের পক্ষে জোর গলায় সুদ হারাম বলা খুব সোজা। এখন ইহুদি সুদে টাকা ধার দিচ্ছে আর ধনী হচ্ছে। আর সবাই এনে ইহুদির কাছে টাকা জমাচ্ছে। এই হল ব্যাঙ্কিং এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।

১৫/ হুন্ডি ওরাই আবিষ্কার করেছে। অনিহুদি কাউকে টাকা দিয়ে সেটা দুরের শহরে পৌঁছে দেবার আশা করা যায় না, টাকা নিয়ে ওধাও হয়ে যায়। আর দূরের শহরে দিনের পর দিন ঘোড়ায় চড়ে, পায়ে হেঁটে, নৌকা চড়ে যে যাবে, পথে পথে ডাকাতের দল ছুরি চাকু বর্শা-বল্লম-তলওয়ার নিয়ে বসে আছে কেন? কিন্তু ব্যবসা করতে হলে টাকা আনাতে হয় পাঠাতে হয়। এইবার এল ইহুদির পোলা। তার মাকে-বউকে-মেয়েকে ধরে বাসায় বন্দী করে বলা হল অমুক শহরে মুদ্রা গুলি নিরাপদে পৌঁছে দিয়ে আয়, যদি না পারিস বা পালিয়ে যাস, তোর মাকে মেরে ফেলব, তোর বউকে বাজারে বেচে দেব, আর তোর মেয়েকে কুত্তা দিয়ে ঘুরাব। যা। ইহুদির পোলারা বুদ্ধি বার করল যে ওরা টাকা সাথে না নিয়ে শুধু কাকে কত দিতে হবে সেটার কাগজ নিয়ে চলে যাবে। লন্ডন থেকে একদিকে কিছু লোক ভেনিস এ টাকা পাঠাবে, আবার ভেনিস থেকে কিছু লোক লন্ডনে টাকা পাঠাবে। এখন লোন্ডনে তোলা টাকা লন্ডনেই বিতরণ করলে, আর ভেনিসে তোলা টাকা ভেনিসে বিতরণ করলেই হয়ে যায়। কিছু পুঁজি থাকলে একদিন দেখা গেল যত টাকা তোলা হয়েছে তার চেয়ে বেশি বিতরণ করতে হচ্ছে, অন্যদিন দেখা গেল উলটা চিত্র। ব্যস, এইটাই ব্যাঙ্কিং এর আসল রহস্য। সোনার টাকা আর দরকারই পড়ে না।

১৬/ ওরা সংখ্যায় কম, কিন্তু ওরা সব আইন্সটাইনের গোষ্টীর লোক। নির্বোধ ইহুদি খুব কম, অশিক্ষিতের সংখ্যা ওদের বেলায় শুন্য।

১৭/ আমি ব্যক্তিগতভাবে যে কয়জন ইহুদীকে চিনি, ওরা অত‍্য়ন্ত লিবারেলঃ ধর্ম নিয়ে কোন মাতামাতি করে না, সকলের সাথে ভদ্র ব্যবহার করে।

১৮/ এইটুকু না বললে চলবেইনা। গণতন্ত্র প্রায় সর্বাংশে ইহুদির দান। হিন্দুরা তো দাস প্রথা চিরস্থায়ী করে রেখেছে শুদ্র আর অস্পৃশ্য বানিয়ে। মুসলমানরা ছিল দাস প্রথার সবচেয়ে বড় জুলুমবাজ; গ্রামে গ্রামে হানা দিয়ে নিরীহ নারীপুরুষকে ধরে এনে বাজারে বেচে দেওয়ার কাজটা ছিল মুসলমানের কাজ। আর খৃষ্টানরা দাস প্রথাকে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। দাস প্রথার কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছে ইহুদিরা, আর সুযোগ পেয়ে ওরাই দাস প্রথার বিরুদ্ধে টাকা পয়সা বুদ্ধি পরামর্শ দিয়েছে।

১৯/ইসরাইল-প্যালেস্টাইন সঙ্ঘাতের সমাধান চান? ইহুদির মত ঈমানদার হন, সমাধান পাবেন। দেখুন মুসলমান সাদ্দামের কান্ড। প্রথমে তিনি আক্রমণ করলেন ইরান, মারলেন মুসলমানকে। তাকে এই অপকর্মে টাকা পয়সা দিলেন সউদীরা আর কুয়েতীরা। ব্যস, ঈমানদার সাদ্দাম কুয়েত দখল করেই বসলেন। এইবার সউদীরা মাথায় হাত দিয়ে ভাবছেঃ মুসলমান কেউ তো সাহায্য করবে না, কারণ সব মুসলমানের ইচ্ছা সউদীর টাকায় ভাগ বসানো। ইহুদির পোলাদের পরামর্শে মার্কিনিরা এল। যদি সাদ্দামের ঈমান থাকত আর ইরানে হামলা না করে কুয়েত দখল না করে প্যালেস্টাইন উদ্ধারের চেষ্টা করতেন, কি হতে পারতো নিজেই ভেবে দেখুন। মুসলমান সংখ্যায় অনেক, চরিত্রে বেঈমান, বুদ্ধিতে নাকাল, শিক্ষায় সব সময় সবার পিছে। কি করে সাধুর সাথে শিক্ষিতের সাথে বুদ্ধিমানের সাথে অসাধু অশিক্ষিত নির্বোধের দল পেরে উঠবে?

No comments:

Post a Comment