Translate

Monday, June 30, 2025

?

বাংলাদেশের সোনার ছেলে, সাইফ মোহাম্মদ, ইংল্যান্ডে যাওয়ার এক মাসের মাথায় ১৪ বছরের এক ব্রিটিশ শিশুকে ধর্ষন করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে!

এক মাস পার হতে দেয় নাই, এর মধ্যেই ঝাপিয়ে পড়েছে সে দেশের শিশুদের উপর!

এমন সোনার ছেলের তো অভাব নাই দেশে!

?

বাংলাদেশে রাস্তা বন্ধ করে, গাড়ি থামিয়ে নামাজ পড়ে মুমিনরা। বাংলাদেশ মুমিনদের স্বর্গরাজ্য, কেউ কিছু বলার নাই। রাস্তা বন্ধ করে নামাজ পড়ার সময় এম্বুলেন্সে কেউ মারা গেলেও মোমেনদের কিছু যায় আসে না।

শুধু কি বাংলাদেশ?

এই মুমিনরা যখন বিদেশে যায়, এই চরিত্র কি বদলায়?

নাহ!

এই ভিডিও গতকালের। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের!

নিউ ইয়র্কে বহু মসজিদ আছে। মসজিদ বাদ দিয়ে রাস্তায় নামাজ পড়ছে কেন মোমেনরা?

মসজিদে নামাজ পড়লে তো নিজেদের শক্তি, উপস্থিতি জানান দেয়া যাবে না। তাই, মসজিদ বাদ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে টাইমস স্কয়ারে নামাজ পড়ছে মোমেনরা!

এই চিত্র খালি নিউ ইয়র্ক না, লন্ডন, লিসবন থেকে শুরু করে বহু ইউরোপীয়ান সিটিতে প্রায় একই চিত্র। নিজ দেশটা বস্তি বানিয়ে, ইহুদী নাসারাদের দেশকেও বস্তি বানানোর সংকল্প মোমেনদের।

আপনি অন্য কোন ধর্মের মানুষদের দেখবেন না এই কাজ করতে। তারা নিজেদের চার্চ, মন্দিরে প্রার্থনা করে। কিন্তু অসভ্য মুসলমানরা মসজিদ বাদ দিয়ে রাস্তা ঘাটে নামাজ পড়বে, হেডম দেখাবে। আর কেউ কিছু বললেই- ইসলামোফোবিয়া!

?

২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বাংলাদেশে ভয়াবহ বর্বরতার শিকার হয় বহু ব্লগার, এক্টিভিস্ট, মুক্তমনা। কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় আভিজিত রায়, নীলয় নীল, দীপনসহ বহু ব্লগারকে। ইসলামী জঙ্গি জিহাদীদের চাপাতির কোপ খেয়ে কেউ কেউ এখনো পঙ্গু।

আর সেই জিহাদী কুকুরদের ব্লগারদের পিছনে লেলিয়ে দেয়ার পিছনে সরাসরি জড়িত এই জসীমউদ্দিন রহমানী। হাসিনার আমলে এত ব্লগার হত্যা করলেও একে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়নি। বেশিরভাগ হত্যার বিচারই হয়নি এখনো। উলটো ব্লগারদের চলে যেতে হয়েছে দেশ ছেড়ে। জিহাদীদের খুশি রাখতে কওমী জননী এই জঙ্গিকে কয়েক বছর জেল দিয়েই হাত পরিষ্কার করে ফেলে। আর ইউনুস এসে এই ভয়ংকর জঙ্গিকে জেল থেকে ছেড়ে দেয়।

এই জঙ্গি নিজ মুখেই স্বীকার করেছে কিভাবে সে নাস্তিক ব্লগারদের হত্যার নেতৃত্ব দিতো। এই ভয়ংকর জঙ্গিদের ছেড়ে দিয়ে ইউনুস দেশে জঙ্গিতন্ত্রের চাষাবাদ করছে।

খালেদা থেকে হাসিনা, হাসিনা থেকে ইউনুস কারো আমলেই এদেশে আমরা নিরাপদ না। অন্য কোন সভ্য দেশ হলে এই জঙ্গি কোনদিন কারাগারের বাইরে বের হতো না। অথচ, এই বর্বর হিংস্র জানোয়ার এখন বুক ফুলিয়ে কথা বলছে, নিজ মুখে স্বীকার করছে!

Saturday, June 14, 2025

HappY birthday Che!

প্রথম ছবিটি ৫৮ বছর আগের। বলিভিয়ার বালিয়াগ্রান্দে শহরের একটি হাসপাতালের লন্ড্রি রুমে শুইয়ে রাখা হয়েছে মৃত চেগেভারাকে। চারদিকে দাঁড়িয়ে আছে বলিভিয়ান আর্মি। ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করেছি ছবিটি। বাকি ছবিগুলি আমার। ২০২২ সালে গিয়েছিলাম। যে উঁচু বেদির উপর তাঁকে রাখা হয়েছে সেটা আসলে একটি বেসিন। এখানে হাসপাতালের কাপড়চোপড় ধোয়া হতো।

সর্বশেষ ছবিটিতে আমি যে আয়তকার গর্তের মতো জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি এটি একটি গণকবর। চে-র মৃত্যুর পর তাঁর ছয় গেরিলা সহযাত্রীসহ সাত মৃতদেহ পুঁতে ফেলা হয় এ গর্তে ১৯৬৭ সালে। তিরিশ বছর পর্যন্ত এ গণ-কবরের সন্ধান পায়নি বিশ্ব গণমাধ্যম। মৃত্যুর তিরিশ বছর পর আর্জেন্টিনার ফরেনসিক নৃতত্ত্ববিদদের একটি দল এ স্থান থেকে উদ্ধার করে সাত গেরিলার হাড়।

আজ চেগেভারার জন্মদিন।

.

.

Youtube Channel-

https://www.youtube.com/@MohuaRouf

Thursday, May 22, 2025

From a Insider

 বাঙলার ইতিহাস বেশ পুরনো। ইতিহাসে আমরা যে বাংলাকে পাই, সেই বাংলার ইতিহাস হাজার বছরের। বাংলা শাসন করেছে মগ, ফিরিঙ্গি, সেন, মুঘল, ইংরেজ, পাকিস্তানি ও বাঙালি নিজে। বাঙালির সমালোচনার শেষ নেই।একদিকে বাঙালির সমালোচনা করেছেন বিদেশি শাসক,গবেষক,সাহিত্যিক ও পর্যবেক্ষক।অন্যদিকে অনেক বাঙালিও বাঙালি আর বাংলাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন।


বাঙালি অভিহিত হয়েছে ‘আত্মবিস্মৃত’, ‘আত্মভ্রষ্ট’, ‘আত্মঘাতী’ বলে। বাঙালিকে অনেকেই বলেছেন আত্মকেন্দ্রিক, সমাজবিমুখ, উগ্র,অসহিষ্ণু, নেতিপ্রবণ (কেবল প্রতিবাদ–প্রতিরোধে আগ্রহী, গঠনমূলক চিন্তায় অনীহ), তর্কপ্রবণ, রঙ্গপ্রিয়, ভোগলিপ্সু,

কর্মকুণ্ঠ, অলস, ভীরু, ভাবালু। বাঙালি মস্তিষ্কের উর্বরতা ও অপব্যবহার সম্পর্কেও বলা হয়েছে অনেক কথা।বাঙালি সম্পর্কে এসব কথা বলা হয়েছে বিশেষ বিশেষ ব্যর্থতার পটভূমিতে আবহমান কালের ইতিহাসকে সামনে নিয়ে। কিন্তু ইতিহাসের সব পর্যায়ে বাঙালি চরিত্রকে এক রকম দেখা যায় না। কোনো জাতির জাতীয় চরিত্রই ইতিহাসের সব পর্যায়ে এক রকম থাকে না। প্রতিটি ঐতিহাসিক কালেরই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকে। কোনো কোনো ঐতিহাসিককালে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাঙালি উন্নত মানসিকতার ও অসাধারণ সৃষ্টিশক্তিরও পরিচয় দিয়েছে। বাঙালি চরিত্রে অনেক প্রশংসনীয় বৈশিষ্ট্যও আছে।


উপমহাদেশে ব্রিটিশ রাজত্ব করেছে দুশো বছর। ব্রিটিশরা বাঙালিকে মোটেও পাত্তা দেয় নি।বাঙালি সম্পর্কে ব্রিটিশ শাসকদের এমনও মনতব্য শোনা যায়, বাঙালি চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট হল মিথ্যা বলা।’ 


হুমায়ুন আজাদ, যিনি একই সাথে জনপ্রিয় এবং অত্যাধিক সমালোচিত একজন লেখক, কিন্তু একজন মনস্তাত্ত্বিক মতো করে বাঙালির বাঙালিপনার চুল-চেরা বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি গভীর মনোযোগের সাথে বাঙালির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যাবলী পর্যবেক্ষণ করে বলেছেন: জাতি হিসেবে বাঙালি বাচাল ও বাকসর্বস্ব; অপ্রয়োজনেও প্রচুর কথা বলে। বাঙালির স্বভাব উঁচু গলায় কথা বলা; সাধারণত শুরুই করে উচ্চকণ্ঠ, বা ক্রমশ তার গলার আওয়াজ চড়তে থাকে। যদি আলাপের বিষয় বিতর্কিত হয় পক্ষবিপক্ষ থাকে, তাহলে অল্প সময়েই তারা প্রচণ্ড আওয়াজ সৃষ্টি করতে থাকে; এবং অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা যদি দুয়ের বেশি হয়, তিন-চার-পাঁচজন হয়, তাহলে আলোচনা পুরোপুরি পণ্ড হওয়ার সম্ভবনা থাকে। যে-কোনো আলাপে বাঙালি নিজেই নিজেকে প্রবেশ করিয়ে দেয়, অন্যদের অনুমতির প্রয়োজন বোধ করে না; এমনকি, অনেক সময়, আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে কিছু না জেনেই বাঙালি তীব্র আলোচনায় অংশ নেয়। বাঙালির যুক্তি কণ্ঠের উচ্চতা; যার কণ্ঠ যতো উঁচু, সে নিজেকে ততোটা যুক্তিপরায়ণ ব’লে গণ্য করে; এবং নিজের জয় অবধারিত ব’লে জানে। যুক্তিতে কোনো বাঙালি কখনো পরাজিত হয় নি, হয় না, ভবিষ্যতেও হবে না। বাঙালি কথায় সাধারণত ভুল শব্দ ব্যবহার করে, বাক্য সম্পূর্ণ করে না; এক কথা ব’লে অন্য কথা বুঝিয়ে থাকে। বাঙালি উচ্চকণ্ঠে আলাপ করে, অযুক্তি পেশ করে, এবং অনেকের মাঝখানে থেকেও ফিসফিশে স্বরে চমৎকার চক্রান্ত করতে পারে। বাঙালি কারো সাথেই দেখা হ’লেই কথা বলে, কথার কোনো প্রয়োজন না থাকলেও। বাঙালি প্রচুর মিথ্যে কথা ব’লে থাকে, অনেকে মিথ্য বলাকে মনে করে চাতুর্য, একধরনের উৎকর্ষ। বাঙালির প্রতিটি এলাকায় অন্তত একজন পেশাদার মিথ্যেবাদী পাওয়া যায়। দক্ষিণ ভারতে একটি উপজাতি রয়েছে, যারা চল্লিশ বছর বয়স্ক হওয়ার পর কথা বলাই থামিয়ে দেয়; তাদের কথা বলার মতো আর কিছু থাকে না। বাঙালি এর বিপরীত-বয়স বাড়ার সাথে কথাও বাড়তে থাকে বাঙালির; বাঙালি বুড়োরা কথা বলার জন্যে প্রসিদ্ধ।


তিনি স্পষ্টভাবে দেখিয়েছেন বাঙালির অভদ্রতা জ্ঞান, সুবিধা আদায়ের কর্মপ্রণালী, অচেনা কোনো আগন্তুক এলে কীভাবে নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে তার প্রতি যেন করুণা করতে চায়। অযথা নানা কাজে ব্যস্ততার ভান করে, নানা দিকে কর্মব্যস্ত হয়ে উঠে। নানা বাহানা করে, ছল করে, এ যেন অন্যকে ছোট করে, নিজে বড় হবার প্রাণপণ চেষ্টা।তিনি বাঙালিকে যেভাবে আবিষকার করেছেন, তার নিখুঁত বর্ণনা তিনি এভাবে দিয়েছেন: বাঙালি স্বভাবত ভদ্র নয়। সুবিধা আদায়ের সময় বাঙালি অনুনয়-বিনয়ের শেষ সীমায় যেতে পারে, কিন্তু সাধারণত অন্যদের সাথে ভদ্র আচরণ করে না। বাঙালি প্রতিটি অচেনা মানুষকে মনে করে নিজের থেকে ছোটো, আগন্তুক মাত্রকেই মনে করে ভিখিরি। কেউ এলে বাঙালি প্রশ্ন করে, কী চাই?’ অপেক্ষা করার জন্যে বলে, দাঁড়ান’। কোনো কর্মস্থলে গেলে বাঙালির অভদ্রতার পরিচয় চমৎকারভাবে পাওয়া যায়। যিনি কোনো আসনে ব’সে আছেন কোনো কর্মস্থলে, তাঁর কাছে কোনো অচেনা মানুষ গেলে তিনি সুব্যবহার পাবেন না, এটা বাঙালি সমাজে নিশ্চয়ই। অসীম কর্মকর্তা, তিনি যতো নিম্নস্তরেই থাকুন-না-কোনো, তিনি আগন্তকের দিকে মুখ তুলেও তাকাবেন না; তাকালে মুখটি দেখে নিয়েই নানা অকাজে মন দেবেন। তিনি হয়তো পান খাবেন, অপ্রয়োজনে টেলিফোন করবেন, পাশের টেবিলে কাউকে ডেকে বাজে কথা বলবেন, আগনু্তকের দিকে মনোযোগ দেবেন না। সামনে কোনো আসন থাকলেও আগনু্তককে বসতে বলবেন না। বাঙালি অন্যকে অপমান ক’রে নিজেকে সমমানিত করে।’ (হুমায়ুন আজাদ নির্বাচিত প্রবন্ধ পৃষ্ঠা ২৫৫-২৫৬) হয়তো কেউ কেউ তাঁর এ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের সাথে একমত নাও হতে পারেন। কিন্তু তিনি যা বলেছেন, বাঙালি চরিত্র বিশ্লেষণ করেই তিনি এ ধরনের সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। এ সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে গেলে আরও গবেষণার দরকার পড়তে পারে। তবু এ সব কিছুর মধ্য দিয়ে বাঙালির প্রাথমিক পরিচয় কিছুটা হলেও পাওয়া যাবে।


বাঙালি খুব পরনিন্দা প্রিয়, পরনিন্দায় বাঙালি আত্মতৃপ্তি পায়। আবার শক্তিমানকে পুজা দেয়, সমমান করে, ভক্তি-শ্রদ্ধা করে।

বাঙালির সৌন্দর্যজ্ঞান কী লেখক তার ব্যাখ্যা হাজির করেছেন নাটকীয়ভাবে। বাঙালি ফরশাকে সাহেব এবং লম্বাকে পাঠানের সাথে কিভাবে তুলনা করে তা তিনি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। হুমায়ুন আজাদ সমালোচকের চোখে তার একটা ব্যাখ্যাও হাজির করে বলেছেন: বাঙালি দরিদ্র কিন্তু অপচয়প্রবণ; আর বাঙালি সময়ের মূল্যবোধহীন। দারিদ্রের একটি বৈশিষ্ট্য সম্ভবত অপচয়, বা অপচয়ে তারা গৌরব বোধ করে। গরিব বাঙালির বাড়িতে গেলেও নানা অপচয় চোখে পড়ে। ভাতের অভাব বাঙালির জীবনে ঐতিহাসিক সত্য ও নিয়তি; কিন্তু প্রতি বাড়িতেই প্রতিদিন কিছু পরিমাণ হ’লেও ভাতের অপচয় ঘটে। কেউ হয়তো খাওয়ার সময় কিছু ভাত ফেলে দেয়, কেউ না-খেয়েই উঠে যায়; কিন্তু ধনী দেশগুলোতে এক টুকরো রুটিরও অপচয় হয় না। রাষ্ট্রীয়ভাবে বাঙালির অপচয়ের কোনো শেষ নেই, এটা ব্যক্তির অপচয়েরই রাষ্ট্রীয় পরিণতি। বাঙালির রাষ্ট্রযন্ত্র প্রতিদিন অপচয় ক’রে চলে, কিন্তু জাপানে একটি ইয়েনেরও অপচয় ঘটে না। অপব্যয় বাঙালির স্বভাব ও সামাজিক দাবি।’তাঁর সংজ্ঞায় বাঙালির জীবনই হল অপচয়ের যন্ত্র। তিনি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে বলেছেন, বাঙালি গাল-গল্প থেকে শুরু করে কাপড় তৈরিতে পর্যন্ত প্রচুর সময় অকারণে নষ্ট করে। বাঙালি কাউকে সময় দিলে কথা ঠিক রাখে না, সাধারণত কাউকে সময় দিলে দু-এক ঘণ্টার হের-ফের করাকে স্বাভাবিক ভাবে।


তাঁর মতে, বাঙালি সুবিধাবাদী; সুবিধার জন্যে বাঙালি সব কিছু করতে পারে। তিনি মনে করেন, বাঙালি জানে না, কাকে শ্রদ্ধা করতে হয়, আর কাকে ঘৃণা করতে হয়। তিনি আরও মনে করেন, বাঙালি কোনো ব্যাপারে ভুল সিদ্ধান্ত নিলে আর তা ত্যাগ করতে পারে না, ভুলকেই ঠিক মনে করে।তিনি সমাধানও দিয়ে দিয়েছেন। এ কাজ করতে পারবে মনোবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানী। এ ধরনের রুগ্ন সমাজকে চিকিৎসা দিতে হলে, পচন রোধ করতে গেলে এখন সুচিকিৎসার প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। তিনি কার কাছে গেলে রুগ্ন বাঙালি সুস্থ হয়ে উঠবে, তাও বলে দিয়েছেন। আমরা আবার লেখকের কাছে ফিরে যাই, কারণ তিনি কেবল আমাদের আশাহতই করে নি, আশার আলোও জ্বেলে দেখিয়েছেন। আমরা তাঁর মুখেই সেই বিষয়টি জানি--’মনোবিজ্ঞানীর চোখ দেয়া দরকার এদিকে, যেমন চোখ দেয়া দরকার সমাজবিজ্ঞানীর। বাঙালির রুগ্নতা আর লুকিয়ে রাখা চলে না, ক্ষতস্থলকে ময়লা কাপড়ে মুড়ে রাখলে ক্ষত শুকোয় না তাতে পচন ধরে। পচন ধরেছে এর মাঝেই। বাঙালির চিকিৎসার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না; একটি জনগোষ্ঠি কি রুগ্ন থেকে রুগ্নতর হ’তে হ’তে লুপ্ত হয়ে যাবে?’ (হুমায়ুন আজাদ নির্বাচিত প্রবন্ধ পৃষ্ঠা ২৫৬)।


বাঙালি চরিত্রের জটিলতা মনস্তত্ত্ব নিয়ে রবীন্দ্রনাথের নিজের ব্যাখ্যা ছিল এ ধরনের, তিনি ব্যাখ্যা করে দেখিয়েছেন--আমরা আরম্ভ করি শেষ করি না; আড়ম্বর করি,কাজ করি না; যাহা অনুষ্ঠান করি তাহা বিশ্বাস করি না; যাহা বিশ্বাস করি তাহা পালন করি না; ভূরিপরিমাণ বাক্যরচনা করিতে পারি, তিলপরিমাণ আত্মত্যাগ করিতে পারি না; আমরা অহংকার দেখাইয়া পরিতৃপ্ত থাকি, যোগ্যতালাভের চেষ্টা করি না; আমরা সকল কাজেই পরের প্রত্যাশা করি, অথচ পরের ত্রুটি লইয়া আকাশ বিদীর্ণ করিতে থাকি; পরের অনুকরণে আমাদের গর্ব, পরের অনুগ্রহে আমাদের সমমান, পরের চক্ষে ধুলিনিক্ষেপ করিয়া আমাদের পলিটিক্‌স; এবং নিজের বাক্‌চাতুর্যে নিজের প্রতি ভক্তিবহুল হইয়া উঠাই আমাদের জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য। - চারিত্রপূজা। (বিদ্যাসাগর-চরিত, রবীন্দ্রগদ্যের উদ্ধৃতি সংগ্রহ ১৯৪)


উপরোক্ত প্রবন্ধে বাংলার দিকপাল মণিষীরা বাঙালির যে সমালোচনা করেছেন তাকে বাঙালির প্রতি তাঁদের বিদ্বেষ বা ঘৃণা মনে করা সমচীন নয়। বাঙালির প্রতি তাঁদের সমালোচনা বরং বাঙালির প্রতি তাঁদের গভীর ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ।






Saturday, May 3, 2025

You Need to Know

১. ChatGPT – যেকোনো লেখা বা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।

২. Canva AI – ডিজাইন তৈরি ও কনটেন্ট সাজাতে AI সহায়তা।

৩. Pictory – লেখা থেকে অটো ভিডিও তৈরি করে।

৪. Copy.ai – মার্কেটিং কপিরাইটিং বা ব্লগ লেখে।

৫. Jasper AI – ব্লগ, বিজ্ঞাপন, ইমেইল লেখায় সাহায্য করে।

৬. Grammarly – ইংরেজি লেখার ভুল ধরিয়ে সংশোধন করে।

৭. Quillbot – লেখাকে রি-রাইট বা প্যারাফ্রেজ করে।

৮. Synthesia – AI এভাটার দিয়ে ভিডিও বানায়।

৯. Looka – লোগো ও ব্র্যান্ড ডিজাইন করে।

১০. Remove.bg – ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে এক ক্লিকে।

১১. Leonardo AI – কল্পনাশক্তির ইমেজ ডিজাইন করে।

১২. Durable – কয়েক সেকেন্ডে ওয়েবসাইট তৈরি করে।

১৩. SlidesAI – লেখা থেকে অটো স্লাইড প্রেজেন্টেশন বানায়।

১৪. Runway ML – ভিডিও এডিটিং ও AI ভিজ্যুয়াল এফেক্টে সাহায্য করে।

১৫. Tome – স্টোরি-বেইজড প্রেজেন্টেশন তৈরি করে।

১৬. Notion AI – নোট নেয়া, টাস্ক ম্যানেজমেন্ট ও লেখায় সাহায্য করে।

১৭. Krisp – কলের ব্যাকগ্রাউন্ড নোইজ রিমুভ করে।

১৮. Cleanup.pictures – ছবির অবাঞ্চিত জিনিস মুছে ফেলে।

১৯. Replika – AI ভার্চুয়াল বন্ধু বা চ্যাট সঙ্গী।

২০. Soundraw – AI দিয়ে অরিজিনাল মিউজিক তৈরি করে।

২১. Beatoven – ভিডিও/পডকাস্টের জন্য মিউজিক তৈরি করে।

২২. Voicemod – ভয়েস চেঞ্জ বা ভয়েস ইফেক্টে ইউজ হয়।

২৩. Lumen5 – ব্লগ থেকে ভিডিও কনভার্ট করে।

২৪. Descript – ভিডিও এডিট করে টেক্সট দিয়ে।

২৫. Kaiber – AI দিয়ে ভিডিও অ্যানিমেশন বানায়।

২৬. AutoDraw – হ্যান্ড-ড্রয়িংকে পারফেক্ট ডিজাইনে রূপ দেয়।

২৭. ElevenLabs – রিয়েলিস্টিক ভয়েস জেনারেশন করে।

২৮. Heygen – AI স্পোকেন ভিডিও বানায় ফেস ও ভয়েস দিয়ে।

২৯. Writesonic – কনটেন্ট রাইটিং ও কপি তৈরি করে।

৩০. Play.ht – ব্লগ বা লেখাকে ভয়েসে পরিণত করে।

৩১. Papercup – ভিডিওর ভয়েস অন্য ভাষায় ডাব করে।

৩২. AI Dungeon – ইন্টার‍্যাকটিভ গল্প বানায়।

৩৩. TTSMaker – লেখা থেকে স্পিচ জেনারেট করে।

৩৪. Magic Eraser – ছবির অবজেক্ট সরিয়ে ক্লিন ব্যাকগ্রাউন্ড দেয়।

৩৫. Designs.ai – লোগো, ভিডিও, অডিও সব তৈরি করতে পারে।

৩৬. Midjourney – কমান্ড থেকে ইমেজ তৈরি করে।

৩৭. TinyWow – ডকুমেন্ট, ভিডিও, পিডিএফ টুলস ফ্রি অফার করে।

৩৮. ChatPDF – যেকোনো PDF পড়ে আপনাকে সারাংশ দেয়।

৩৯. Scalenut – SEO কনটেন্ট ও ব্লগ প্ল্যান করে।

৪০. INK – SEO, রাইটিং, মার্কেটিং একসাথে করে।

৪১. DeepL – প্রোফেশনাল লেভেলের ট্রান্সলেশন দেয়।

৪২. OpenArt – AI আর্ট ও ইমেজ তৈরি করে।

৪৩. NameSnack – AI দিয়ে বিজনেস নাম সাজেস্ট করে।

৪৪. Tidio – AI চ্যাটবট তৈরি করে ওয়েবসাইটের জন্য।

৪৫. FormX.ai – স্ক্যান করা ডকুমেন্ট থেকে ডেটা এক্সট্রাক্ট করে।

৪৬. Murf.ai – প্রফেশনাল ভয়েসওভার তৈরি করে।

৪৭. Zyro AI Writer – ওয়েবসাইট বা কনটেন্ট লেখায় ব্যবহার হয়।

৪৮. Hugging Face – বিভিন্ন ধরনের NLP ও AI টুলস হোস্ট করে।

৪৯. Adobe Firefly – AI দিয়ে ইমেজ ও ডিজাইন তৈরি করে।

৫০. Illustroke – লেখা থেকে SVG ইলাস্ট্রেশন তৈরি করে।

এই টুলগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার কাজের গতি যেমন বাড়াতে পারবেন, তেমনি সময় এবং খরচও বাঁচাতে পারবেন।

#collected #follower #highlights2025 #StarSender #tranding

Sunday, April 27, 2025

Free AI Tools for Daily Use

নিচে ৫০টি ফ্রি AI টুলের তালিকা বাংলা সিরিয়াল নাম্বারসহ দেওয়া হলো, যেগুলো আপনার কাজকে কয়েক গুণ দ্রুত করতে সাহায্য করবে —

১. ChatGPT – যেকোনো লেখা বা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।

২. Canva AI – ডিজাইন তৈরি ও কনটেন্ট সাজাতে AI সহায়তা।

৩. Pictory – লেখা থেকে অটো ভিডিও তৈরি করে।

৪. Copy.ai – মার্কেটিং কপিরাইটিং বা ব্লগ লেখে।

৫. Jasper AI – ব্লগ, বিজ্ঞাপন, ইমেইল লেখায় সাহায্য করে।

৬. Grammarly – ইংরেজি লেখার ভুল ধরিয়ে সংশোধন করে।

৭. Quillbot – লেখাকে রি-রাইট বা প্যারাফ্রেজ করে।

৮. Synthesia – AI এভাটার দিয়ে ভিডিও বানায়।

৯. Looka – লোগো ও ব্র্যান্ড ডিজাইন করে।

১০. Remove.bg – ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে এক ক্লিকে।

১১. Leonardo AI – কল্পনাশক্তির ইমেজ ডিজাইন করে।

১২. Durable – কয়েক সেকেন্ডে ওয়েবসাইট তৈরি করে।

১৩. SlidesAI – লেখা থেকে অটো স্লাইড প্রেজেন্টেশন বানায়।

১৪. Runway ML – ভিডিও এডিটিং ও AI ভিজ্যুয়াল এফেক্টে সাহায্য করে।

১৫. Tome – স্টোরি-বেইজড প্রেজেন্টেশন তৈরি করে।

১৬. Notion AI – নোট নেয়া, টাস্ক ম্যানেজমেন্ট ও লেখায় সাহায্য করে।

১৭. Krisp – কলের ব্যাকগ্রাউন্ড নোইজ রিমুভ করে।

১৮. Cleanup.pictures – ছবির অবাঞ্চিত জিনিস মুছে ফেলে।

১৯. Replika – AI ভার্চুয়াল বন্ধু বা চ্যাট সঙ্গী।

২০. Soundraw – AI দিয়ে অরিজিনাল মিউজিক তৈরি করে।

২১. Beatoven – ভিডিও/পডকাস্টের জন্য মিউজিক তৈরি করে।

২২. Voicemod – ভয়েস চেঞ্জ বা ভয়েস ইফেক্টে ইউজ হয়।

২৩. Lumen5 – ব্লগ থেকে ভিডিও কনভার্ট করে।

২৪. Descript – ভিডিও এডিট করে টেক্সট দিয়ে।

২৫. Kaiber – AI দিয়ে ভিডিও অ্যানিমেশন বানায়।

২৬. AutoDraw – হ্যান্ড-ড্রয়িংকে পারফেক্ট ডিজাইনে রূপ দেয়।

২৭. ElevenLabs – রিয়েলিস্টিক ভয়েস জেনারেশন করে।

২৮. Heygen – AI স্পোকেন ভিডিও বানায় ফেস ও ভয়েস দিয়ে।

২৯. Writesonic – কনটেন্ট রাইটিং ও কপি তৈরি করে।

৩০. Play.ht – ব্লগ বা লেখাকে ভয়েসে পরিণত করে।

৩১. Papercup – ভিডিওর ভয়েস অন্য ভাষায় ডাব করে।

৩২. AI Dungeon – ইন্টার‍্যাকটিভ গল্প বানায়।

৩৩. TTSMaker – লেখা থেকে স্পিচ জেনারেট করে।

৩৪. Magic Eraser – ছবির অবজেক্ট সরিয়ে ক্লিন ব্যাকগ্রাউন্ড দেয়।

৩৫. Designs.ai – লোগো, ভিডিও, অডিও সব তৈরি করতে পারে।

৩৬. Midjourney – কমান্ড থেকে ইমেজ তৈরি করে।

৩৭. TinyWow – ডকুমেন্ট, ভিডিও, পিডিএফ টুলস ফ্রি অফার করে।

৩৮. ChatPDF – যেকোনো PDF পড়ে আপনাকে সারাংশ দেয়।

৩৯. Scalenut – SEO কনটেন্ট ও ব্লগ প্ল্যান করে।

৪০. INK – SEO, রাইটিং, মার্কেটিং একসাথে করে।

৪১. DeepL – প্রোফেশনাল লেভেলের ট্রান্সলেশন দেয়।

৪২. OpenArt – AI আর্ট ও ইমেজ তৈরি করে।

৪৩. NameSnack – AI দিয়ে বিজনেস নাম সাজেস্ট করে।

৪৪. Tidio – AI চ্যাটবট তৈরি করে ওয়েবসাইটের জন্য।

৪৫. FormX.ai – স্ক্যান করা ডকুমেন্ট থেকে ডেটা এক্সট্রাক্ট করে।

৪৬. Murf.ai – প্রফেশনাল ভয়েসওভার তৈরি করে।

৪৭. Zyro AI Writer – ওয়েবসাইট বা কনটেন্ট লেখায় ব্যবহার হয়।

৪৮. Hugging Face – বিভিন্ন ধরনের NLP ও AI টুলস হোস্ট করে।

৪৯. Adobe Firefly – AI দিয়ে ইমেজ ও ডিজাইন তৈরি করে।

৫০. Illustroke – লেখা থেকে SVG ইলাস্ট্রেশন তৈরি করে।

এই টুলগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার কাজের গতি যেমন বাড়াতে পারবেন, তেমনি সময় এবং খরচও বাঁচাতে পারবেন।

#collected

Wednesday, March 5, 2025

What is "Inqilab" the trending word in BD politics!

"Making a fool of oneself leads to trouble. Words, symbols, these have no inherent value. It is people who make words great, and it is people who pollute them. In movies, the 'villain' is a very bad character, but 'villain' was not always a bad word. Common farmers and workers were once called 'villains.' In Latin, it was 'villanus.' In the Middle Ages, at one point, the power was in the hands of the 'villains,' meaning the poor class. People saw that the poor 'villains' as rulers were extremely bad. They were ruthless oppressors. From then on, 'villain' became a negative word. The swastika was once a very good symbol in India. It is an ancient symbol, over 7,000 years old. But after falling into Hitler's hands, it became associated with the Nazi symbol. 'Propaganda' was not a bad word; many countries had 'Propaganda Ministries.' People would get essential health information, weather updates, and such through the Propaganda Ministry. The job of propaganda was to spread true and necessary information. But after falling into Goebbels' trap, the word became stigmatized. Now, 'propagandist' is an insult. The word 'notorious' in English once referred to famous individuals. Now it refers to bad people.

'Inquilab' has met the same fate. The great leaders like Hasrat Mohani, Bhagat Singh, Nehru, Maulana Azad, who used 'Inquilab' for noble purposes, no longer hold that meaning. In the Bengali language, it has now fallen into the hands of an ultra-reactionary group and has lost its dignity terribly. A specific group has now adopted the slogan 'Inquilab Zindabad' for their own purposes. I understand their intentions, and that's why I stand against it. Those who have hijacked the will of the common people, under the guise of secretive and hidden power, are using this as a new trick, a new strategy.

'Inquilab' is not a bad word in itself. Its root is the Arabic word Qaf-Lam-Ba, which means change, overturn, transformation, or going back to the previous state. I found the word in the Quran as well, possibly in Surah Imran, with the word 'Yankalib,' which means apostasy, i.e., leaving the faith. In the time of the Prophet, those who left Islam were called 'Inquilabi,' meaning they revolted against Islam! This was how 'Inquilab' was used in the time of the Prophet!

It is not my saying, even Allah used the word 'Inquilab' in this context! I have forgotten the exact verse, but it is something like 'Wa ma yankalib ala aqibaihi fa la,' which implies, after the Prophet’s death, will you return to apostasy and become disbelievers again?

Now, the religiously cunning people are calling the people's 'government downfall' an 'Inquilab.' They are ashamed to say 'Pakistan Zindabad,' 'Middle East Zindabad,' so they are fulfilling their alternative desire by shouting 'Inquilab Zindabad.' They are challenging 'Bangladesh Zindabad.'

A few days ago, two Hafiz and Mufti of the Quran left Islam and became disbelievers. Will they now shout the 'Inquilab Zindabad' slogan, in accordance with the Quranic verse? Allah used the term 'Inquilab' in their case. That is the real meaning of Inquilab – leaving Islam and becoming a disbeliever. Will the people of Tawhid accept this?"

Wednesday, February 26, 2025

Stability hangs in balance in Bangladesh as mob violence rises under the interim govt.

Mob justice claims 82 lives under Yunus-led interim government; while political reprisals are being disguised as justice, Bangladesh has seen a sharp decline in extrajudicial killings and enforced disappearances