Translate

Tuesday, July 11, 2023

লিথুয়ানিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ

মধ্যবিত্ত পরিবারে ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষা এবং স্থায়ী হওয়ার জন্য আমেরিকা, ইউকে, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন তুলনামূলক ব্যায়বহুল এবং কঠিন। সামগ্রিক বিবেচনায় বাংলাদেশী ছাত্রদের জন্য লিথুয়ানিয়া হতে পারে অন্যতম গন্তব্য। 

লিথুয়ানিয়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং সেনজেনভুক্ত দেশ। এটি বাল্টিক সাগরের তীরের অপরুপ সুন্দর দেশ। ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এখানে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক কম। এ দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থাও উন্নত এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানো হয়। লিথুয়ানিয়া সুইডেন, বেলারুশ ও লাটভিয়ার প্রতিবেশী দেশ। 

টিউশন ফি- 

লিথুয়ানিয়াতে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক টিউশন ফি'র পার্থক্য হতে পারে। ব্যাচেলর লেভেলে বছরে টিউশন ফি সাবজেক্ট অনুযায়ী ৩০০০ ইউরো থেকে ৬০০০ ইউরো। মাস্টার্স লেভেলে ২৫০০ ইউরো থেকে ৭০০০ ইউরো।

মাসিক খরচ-

একজন শিক্ষার্থী হিসেবে প্রতিমাসে ৩০০-৫০০ ইউরো খরচ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডর্মেটরী তে থাকলে আরো কমেও থাকা যায়, ইউরোপের যেকোন দেশে এটা অসম্ভব। 

যেকোন স্কিল থাকলে অতিসহজেই কাজ পাওয়া যায়। ভালো ইনকাম করা যায় কেননা খরচ কম।বাংলাদেশে লিথুয়ানিয়ার কোন এম্বাসি নেই এজন্য দিল্লির এম্বাসীতে আবেদন করা হয়। 

কারো যদি IELTS এ মোটামুটি ভালো স্কোর থাকে, সেক্ষেত্রে সহযোগিতা করা সহজ হবে।।


বাল্টিক সমুদ্রের তীরে অবস্থিত বলে এই দেশকে বাল্টিক দেশ বলাহয়। পূর্ব ইউরোপের কম জনবহুল দেশ লিথুয়ানিয়া।লিথুয়ানিয়ার সেরা ৮ দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে উপস্থাপন করছি। 

১. ভিলনাসঃ লিথুয়ানিয়ার ইতিহাসসমৃদ্ধ শহর ভিলনাস। এখানে ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে অনেক। ভিলনাস শহরের বিখ্যাত সেন্ট অ্যানি গীর্জা খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছে অনেক পছন্দের। শহরটিতে রয়েছে সুরক্ষিত দুর্গ ও অভিজাত ভবন। 

২. কওনাসঃ লিথুয়ানিয়ার দ্বিতীয় বড় শহর কওনাস। শহরটি নেরিস নদীর তীরে অবস্থিত। লিথুয়ানিয়ার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কওনাস শহরে অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে। ইতিহাসপ্রেমী পর্যটকরা এসব স্থাপনায় ভ্রমণ করেন। 

৩. কার্নাভঃ ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত কার্নাভ শহর। এই শহরে ত্রয়োদশ বা চতুর্দশ শতকে প্রথম বসতি গড়ে ওঠে। পর্যটকদের কাছে এই শহর অত্যন্ত পছন্দের। 

৪. ক্লাইপেডাঃ বাল্টিক সমুদ্রের কাছে ক্লাইপেডা শহর অবস্থিত। উনবিংশ শতাব্দিতে এই শহর জার্মান সাম্রাজ্যের অংশ ছিলো। শহরটির রয়েছে ৮০০ বছরের দীর্ঘ ইতিহাস। যারা ইতিহাস বিষয়ে গভীরভাবে পড়াশুনা করেন তাদের জন্য ক্লাইপেডা শহরে প্রচুর ভাবনার খোরাক রয়েছে। 

৫. নেরিংগাঃ নেরিংগা শহরে অনেকগুলো সমুদ্রসৈকত রয়েছে। সমুদ্রবিলাসী সব বয়সের পর্যটক এখানে ভ্রমণ করেন। নেরিংগা শহরে সমুদ্রসৈকতকে কেন্দ্র করে অসংখ্য রিসোর্ট রয়েছে। এসব রিসোর্টের বেশিরভাগই বিলাসবহুল। 

৬. পালাংগাঃ নেরিংগা শহরে অনেকগুলো সমুদ্রসৈকত রয়েছে। সমুদ্রবিলাসী সব বয়সের পর্যটক এখানে ভ্রমণ করেন। নেরিংগা শহরে সমুদ্রসৈকতকে কেন্দ্র করে অসংখ্য রিসোর্ট রয়েছে। এসব রিসোর্টের বেশিরভাগই বিলাসবহুল। 

৭. তারাকাই

পাহাড়, জলপ্রপাত ও তৃণভূমি আচ্ছাদিত তারাকাই শহর লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলিনাসের পশ্চিমে অবস্থিত। এই শহরে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক পার্ক ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। পর্যটকরা এই শহরে ভ্রমণে এসে অভিভূত হন। 

৮. অ্যানিকসাই

লাটভিয়া সীমান্তের কাছে অবস্থিত অ্যানিকসাই শহর অবস্থিত। এই শহরকে বলা হয়ে থাকে সবুজের শহর। এখানে অসংখ্য ধর্মীয় স্থাপনা রয়েছে। বিখ্যাত সেন্ট ম্যাথিউ গীর্জা খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী পর্যটকরা অনেক পছন্দ করেন। এই শহরের ৫০০ বছরের ইতিহাস রয়েছে। এই শহরে রয়েছে সবচেয়ে উঁচু গীর্জা।

No comments:

Post a Comment